ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জানা গেছে, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একটি পক্ষ, যারা ইশরাক হোসেনের বিরোধী বলে পরিচিত, তারা নগর ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে তুমুল হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কয়েকজনকে পিটুনি দেওয়া হয়েছে এবং একজন সাংবাদিককে ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আরিফুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি দল নগর ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে। ধারণা করা হচ্ছে, এই দলটি ইশরাক হোসেনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাদের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ইশরাক হোসেনের অনুসারীরা দ্রুত নগর ভবনে এসে জড়ো হন।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ
ইশরাক সমর্থকদের আগমনের পর পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয় যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্রে দেখা গেছে, কিছু ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে মারধর করা হচ্ছে। এতে নগর ভবনের ভেতরে এবং আশেপাশে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
সাংবাদিককে ছুরি দেখিয়ে হুমকি
এই ঘটনার সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিকটি হলো একজন সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে একজন সাংবাদিককে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর একটি বড় আঘাত এবং এর তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
নগর ভবনে এই ঘটনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বর একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছে। এই ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেও সামনে নিয়ে এসেছে, যেখানে ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশের সঙ্গে অন্য অংশের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। এই ধরনের ঘটনা নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও, ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।