ঢাকা প্রেস নিউজ
গ্রীসের ইকারিয়া দ্বীপের মানুষ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘজীবী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। গড় আয়ু 90 বছর ছাড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, এখানকার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ 100 বছর বয়সেও বেঁচে থাকেন। তাদের দীর্ঘায়ুর পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, তবে তাদের খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়।
ইকারিয়ানদের খাদ্যাভ্যাসের কিছু বৈশিষ্ট্য:
উদ্ভিজ্জ-ভিত্তিক: তাদের খাদ্যের বেশিরভাগই শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ এবং শস্য থেকে আসে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি: তারা জলপাই তেল প্রধান চর্বি উৎস হিসেবে ব্যবহার করে, যা মনোস্যাচুরেটেড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
পরিমিত প্রোটিন: তারা মাছ, পোল্ট্রি এবং দই সহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করে, তবে লাল মাংস খাওয়া খুবই সীমিত।
সম্ভবত ওয়াইন: তারা রেড ওয়াইন পরিমিত পরিমাণে পান করে, যা কিছু স্বাস্থ্য উপকারের সাথে যুক্ত।
নিয়ন্ত্রিত ক্যালোরি: তারা সম্পূর্ণ খাবার খায় এবং বেশি খায় না।
এই খাদ্যাভ্যাসের কিছু সম্ভাব্য সুবিধা:
হৃদরোগের ঝুঁকি কম: স্বাস্থ্যকর চর্বি, উদ্ভিজ্জ আঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কম: ফল, শাকসবজি এবং বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত: স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি: এই খাদ্যাভ্যাসের উপাদানগুলো দীর্ঘায়ুর সাথে যুক্ত বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
উল্লেখ্য যে, ইকারিয়ানদের দীর্ঘায়ুর ক্ষেত্রে তাদের জীবনধারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা নিয়মিত শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে, দৃঢ় সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পর্যাপ্ত ঘুম পায়।
পরিশেষে, ইকারিয়ানদের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর এবং দীর্ঘ জীবনের জন্য একটি চমৎকার উদাহরণ।