জিহাদ হোসেন.বিশেষ প্রতিনিধি:-
ফতুল্লা থানার ক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ হাসিনুজ্জামান এর নেতৃত্বে এসআই (নি:) মোঃ রফিকুল ইসলাম, এসআই (নি:) মোঃ ওয়াসিম খানসহ সঙ্গীয় ফোর্সের একটি চৌকস দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫ জন আসামীকে মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম:
১. মোঃ ছগির (৩৮), পিতা-মোঃ ইউসুফ আকন, মাতা-সাহেরা বেগম, স্থায়ী-হাজীখালা, থানা-পটুয়াখালী সদর, পটুয়াখালী।
২. রেহেনা (২৫), স্বামী-ছগির, পিতা-মজিদ আলী সৈয়াল, মাতা-পারভীন, স্থায়ী-সাবেরচর, থানা-লক্ষীপুর সদর, জেলা-লক্ষীপুর, উভয় এ/পি সাং-হাতীমারা, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ।
৩. মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৫২), পিতা-মৃত: জলিল মোল্লা, মাতা-তাহেরা বেগম, স্বায়ী সাং-দানেহপুর, পোস্ট-খলিলপুর, থানা-হরিরামপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ, এ/পি সাং-মিরেরবাগ, বালুরচর, জনির বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা-দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা।
৪. মোঃ আরিফ (২৫), পিতা-মৃত: আসমত আলী, মাতা-জহরা বেগম, স্থায়ী সাং-চর ইসলামপুর, পোস্ট-মিনারবাড়ী, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, এ/পি সাং-গজারিয়া, থানা-গজারিয়া, জেলা-মুন্সীগঞ্জ (শশুর বাড়ি)।
৫. মোঃ নুর জামান (৩৫), পিতা-আব্দুল হান্ডার পেয়ার, মাতা-মৃত: মনোয়ারা বেগম, স্থায়ী সাং-হাজীখালা, থানা-পটুয়াখালী সদর, পটুয়াখালী, এ/পি সাং-দাপা ইদ্রাকপুর, উনিয়ন পরিষদের পাশে, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
গত ২৪/০১/২০২৫ খ্রিঃ রাত্রি আনুমানিক ৮:৩০ টায়, ভ্যান চালক হাবিবুর রহমান (২১) এর মোবাইল ফোন থেকে বাদী মোঃ আজিজুল হক (৪৮) কে ফোন করে তার ছেলেকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে মুক্তিপণ হিসেবে ৩,০০,০০০/- টাকা দাবি করা হয়। বাদী মোঃ আজিজুল হক জানায় যে, তিনি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাই এত টাকা দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর, ফোনটি বন্ধ হয়ে যায় এবং ছেলের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর ২৮/০১/২০২৫ খ্রিঃ আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকায়, ফতুল্লা থানাধীন আমতলা হরিহরপাড়া এলাকায় ডিসিষ্টের (হাবিবুর রহমান) মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ফতুল্লা থানায় মামলার রুজু হয় ২৯/০১/২০২৫ তারিখে (মামলা নং-৩১)। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সঙ্গীয় পুলিশ দল তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত ঘটনা স্বীকার করেছে। তারা জানায়, হাবিবুর রহমানকে এক বাসার রুমে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়, তবে হাবিবুর রহমান চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।