ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসসহ সকল শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গত ২ দিন ধরে তালা ঝুললে, খোলা হয়নি স্কুলের দরজা। প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে দফায় দফায় স্কুল মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করেছে অভিভাবক ও ছাত্র-জনতা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক বিচার ও তদন্তের দাবি জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দাখিল করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আজোয়াটারী মাস্টারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি সময় গোপনে একজন আয়া ও একজন অফিস সহায়ক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পৃথক দুই পদে ১৯ লাখ টাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে নিয়োগ দেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যালয়ের কোনো উন্নয়ন কাজ না করেই গোপনে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক টাকাগুলো ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে অভিভাবকসহ ছাত্র-জনতার মাঝে। এই নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে ছাত্র-জনতা প্রশ্ন করলে সদোত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক মো. জোসেব আলী।
ফলে গত মঙ্গলবার ও বধুবার দুইদিন প্রধান শিক্ষকের অফিসসহ সকল শ্রেণি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ছাত্রছাত্রীরা স্কুল আসলেও ক্লাস করতে পারেনি তালা লাগানোর কারণে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র খাইরুল ইসলাম ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী প্রতিমা রায় জানায়, টাকার হিসাব চেয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে তালা লাগিয়েছে এলাকার লোকজন। আমরা স্কুল এসে দেখি অনেক লোক জড়ো হয়েছে। ক্লাসে যাইতে পারিনি।
প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম সরকার জানান, দু’টি পদে ১৯ লাখ টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সেই টাকার হিসাব চেয়ে ছাত্র-জনতা দুইদিন ধরে স্কুলে অবস্থান নিয়েছে। টাকা আত্মসাৎ করায় উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক জোসেব আলী জানান, কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়নি। বিধি মোতাবেক দুই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তালা লাগানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অফিসে যারা তালা লাগিয়েছে, তারাই আবার খুলে দিয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহতাব হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তালা লাগানোর বিষয়টি অবগত আছি। স্কুল খোলা হলে দুই/একদিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে যাওয়া যাবে।