“আমাকে কোনো মেয়ে ভালোবাসার কথা বললে আমি তাকে খুশি হয়ে লাভ রিয়েক্ট দেই। রিপ্লাই দেই, নইলে সে মনঃক্ষুণ্ণ হবে। আমার ইনবক্স ভর্তি ‘লাভ ইউ’ টেক্সট। আমার ম্যাসেঞ্জার বক্স দেখলে মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন। সারাদিন আপনার মাথা ঘুরতে থাকবে যে কী হয় আমার ম্যাসেঞ্জার বক্সে।”
নারীদের ভালোবাসায় সিক্ত- এমন দাবী করে এ কথাগুলো দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন জায়েদ খান। কেন আপনাকে নারীরা পছন্দ করে? উত্তরে জায়েদ বলেন, “আমার রাশিতে হয়তো এটা আছে। পছন্দ করার কারণ হতে পারে রাশিগত।
এই প্রমাণ অনেকবার সবাই দেখেছে। সবাই দৌড়ে এসে ছবি তোলে। তারা আমাকে বিশ্বাস করে এটা আমাকে পছন্দ করার আরেকটি কারণ। তাছাড়া একজন শিল্পী হিসেবে আমাকে মেয়েরা পছন্দ করতেই পারে।
আমি মনে করি আমার ব্যক্তিত্ব এবং চলাফেরা দেখেও তারা পছন্দ করতে পারে। আমি মেয়েদের চেয়ে সালমান খানকে বেশি পছন্দ করি। এমনকি কোনো মেয়ে আর্টিস্টের চেয়েও সালমান খানকে পছন্দ করি। এটা আমার মনের ফিলিংস! এটা হতেই পারে। ঠিক একইভাবে আমাকে হয়তো মেয়েরা পছন্দ করে।”
জায়েদ আরও বলেন, “একটি অনলাইনে দেখলাম আমার ছবি বালিশের কাভারে দিয়ে ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। ভালো না বাসলেও কিন্তু আমাকে অ্যাটেনশন দেয়া হচ্ছে। অনেকেই ট্রল করলেও আমি পজিটিভভাবে দেখি। কারণ মানুষ এতো ব্যস্ততার মধ্যেও আমাকে সময় দিচ্ছে। নিশ্চয়ই আমি আলোচনার বিষয়। আমার ভিডিওগুলোতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউস হচ্ছে। এগুলো কেন হচ্ছে? নিশ্চয়ই মানুষ আমাকে পছন্দ করে বলে দেখেছে।”
বিয়ে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, “বিয়ে করলেই তো বাসি হয়ে গেলাম, এইজন্য সময় নিচ্ছি। তাছাড়া আমি বিয়ে করলে অনেকের মন ভেঙে যাবে। ইনবক্সে সবাই বলতে থাকে, প্লিজ এভাবে থাকেন বিয়ে কইরেন না। আমি সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষ। চোখ এদিকে সেদিক ঘোরে। তবে যখন বিয়ে করবো সবাইকে জানিয়ে করবো।”
জাতীয় রাজনীতিতে আসার ইচ্ছের কথা জানিয়ে জায়েদ বলেন, “ছোটবেলা থেকে সংগঠন করতে পছন্দ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়েছি রাজনীতি করেছি। তাছাড়া আমি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির মেম্বার। রাজনীতি শিল্পী সমিতিতে থেকে এফডিসিতে করেছি। তাই রাজনীতি আমার রক্তে। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন আমার দরকার তিনি চাইলে আমি জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হবো। এজন্য আমি প্রস্তুত আছি।”