ঢাকা প্রেস নিউজ
সরকার রপ্তানিমুখী বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তা কমিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে রপ্তানিকারকদের উপর বেশ কিছু প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রধান প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে:
রপ্তানি আয় কমে যাওয়া: নগদ সহায়তা কমে যাওয়ায় রপ্তানিকারীদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে তারা তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হতে পারে। দাম বৃদ্ধি পেলে বিদেশী ক্রেতারা কম কিনতে পারে। এর ফলে শেষ পর্যন্ত রপ্তানি আয় কমে যাবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঝুঁকি: নগদ সহায়তা কমে যাওয়ার ফলে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের (এসএমই) রপ্তানিকারীদের জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে তাদের সমস্যা হতে পারে। এর ফলে অনেক এসএমই বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়তে পারে।
বিনিয়োগ হ্রাস: নগদ সহায়তা কমে যাওয়ায় রপ্তানি খাতে নতুন বিনিয়োগ কমে যেতে পারে। কারণ বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক হতে পারেন। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা কমে যাওয়া: নগদ সহায়তা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারীরা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়বে। কারণ অনেক দেশ তাদের রপ্তানিকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের সুবিধা প্রদান করে। এর ফলে বাংলাদেশের বাজারে অংশ হারাতে পারে।
তবে কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে:
সরকারের আয় বৃদ্ধি: নগদ সহায়তা কমে যাওয়ায় সরকারের আয় বৃদ্ধি পাবে। কার্যকারিতা বৃদ্ধি: নগদ সহায়তা কমে যাওয়ায় রপ্তানিকারীরা তাদের খরচ আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে বাধ্য হবে। আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি: নগদ সহায়তার উপর নির্ভরতা কমে যাওয়ায় রপ্তানিকারীরা আরও বেশি আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে।
সামগ্রিকভাবে, রপ্তানিমুখী বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তা কমানোর পদক্ষেপের ফলে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রভাবই রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে এই পদক্ষেপের প্রভাব কী হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।