পাকিস্তানে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে জেরে নিহত বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪৫ জন। শনিবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ধসে পড়ার পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশের চারটি জেলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। ৬৯টি বাড়ি আংশিক ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া উপড়ে পড়া গাছ বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ারে ভেঙে পড়াসহ বৃষ্টি সংক্রান্ত নানা ঘটনায় আরও ১৪৫ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়ের' সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছে পাকিস্তান। এর অংশ হিসেবে দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। করাচির সব সমুদ্র সৈকতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ ও বিচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আরব সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় করাচি উপকূলে এগিয়ে আসায় শেহবাজ শরিফ কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ ‘গুরুতর এবং তীব্র’ এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।
শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ করাচি থেকে ৯১০ কিলোমিটার, দক্ষিণ ঠাট্টা থেকে ৮৯০ কিলোমিটার এবং ওরমারা থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়টিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে শনিবারের সতর্ক বার্তায় জানানো হয়।