বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন করে অবৈতনিক ন্যায়পাল নিযুক্ত করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যায়পালের ধারণাটি কার্যকর করা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
বুধবার (৫ জুন) ইউজিসিতে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, পরিচয় প্রকাশ হওয়ার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করতে আগ্রহী হন না। ফলে অপরাধ করেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। ন্যায়পাল নিযুক্ত করা গেলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে এবং অপরাধের ঘটনা ঘটলে তা প্রতিকারে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ না করেই নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট একটি দেশ নির্মাণের অংশ হিসেবে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হলে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. শামসুল আরেফিন তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ তৎপর হলে তথ্য অধিকার আইনের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্সপার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।
প্রশিক্ষণে দেশের ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিআই ফোকাল পয়েন্ট/বিকল্প ফোকাল পয়েন্টসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।