ঘিরে তাইওয়ানকে রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ চীনের

প্রকাশকালঃ ১৮ জুলাই ২০২৩ ০৬:২৯ অপরাহ্ণ ১৮০ বার পঠিত
ঘিরে তাইওয়ানকে রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ চীনের

তাইওয়ানের জলসীমার আশপাশে রেকর্ড সংখ্যক চীনা যুদ্ধজাহাজ দেখা গেছে। গত সপ্তাহের শেষদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত হয়। রবিবার এমন দাবি করেছে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্লেষকরা ধারণা করেছেন, তাইয়েপকে ভয় দেখাতে যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে পারে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।

তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির (প্ল্যান) এ ধরনের মহড়া শেষ হয় স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৬ টায়। দ্বীপটিকে ঘিরে গত শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই জাহাজগুলোর উপস্থিতি ছিল। অঞ্চলটি সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করেছেন মার্কিন বিশ্লেষকরা। 

এ বিষয়ে বেইজিংয়ের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাইওয়ানের আকাশপ্রতিরক্ষা জোনে প্রায়শই চীনের যুদ্ধবিমান শনাক্ত করে দ্বীপটির কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে, ৭৩টি পিএলএ বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে বলে তাইওয়ানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তাইপে বলেছে এটি নিঃসন্দেহে সীমানা অতিক্রম করার শামিল। 


বেইজিং বিষয়টিকে স্বীকার না করলেও এ নিয়ে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে মূল যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা হলো রবিবার রাশিয়ার সঙ্গে জাপান সাগরে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়ায় অংশ নেয়  চীনা নৌবাহিনী। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে তাইওয়ানের জলসীমার কাছে চীনের যুদ্ধজাহাজ দেখা গেছে। মহড়াটি চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। চীনা নৌ বহরে পাঁচটি যুদ্ধ জাহাজ ও জাহাজ থেকে উড্ডয়নে সক্ষম চারটি হেলিকপ্টার রয়েছে। এর আগে শনিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, রাশিয়ার নৌ ও বিমান বাহিনী এই যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে।

তাইওয়ানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পরপর তিনদিন আদিজ দ্বীপের কাছে চীনা বেশ কয়েকটি জাহাজ দেখা গেছে। শুক্র থেকে শনিবার ১৬টি চীনা জাহাজ দেখা গেছে বলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে। 

সোমবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের প্রাক্তন পরিচালক কার্ল শুস্টার বলেন, এটি একটি ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে বেইজিং দুইভাবে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।