কুড়িগ্রামের সীমান্ত সড়কে শোভা পাচ্ছে সামাজিক বনায়ন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৯ জুলাই ২০২৫ ০২:২৩ অপরাহ্ণ   |   ৪০ বার পঠিত
কুড়িগ্রামের সীমান্ত সড়কে শোভা পাচ্ছে সামাজিক বনায়ন

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার থানাঘাট-সাহেবগঞ্জ সীমান্ত সড়কে শোভা পাচ্ছে সামাজিক বনায়ন। সবুজে ভরে গেছে গ্রামীণ সড়কের দু'পাশ। রয়েছে চালতা, কাঠবাদাম, নিম, জলপাইসহ হরেক রকমের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ।
 

পাশাপাশি কৃষিকাজের নিমিত্তে সড়কের দুপাশে লাগানো হয়েছে শিম, লাউ, ঝিঙে, মিষ্টি কুমড়া, শসা, ঢেঁড়স।
 

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ পাইলট গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় থানাঘাট-সাহেবগঞ্জ সীমান্ত সড়কে কমিউনিটি ভিত্তিতে উন্নয়নকৃত সড়কের স্লোপ ও সোল্ডারে করা হয়েছে এ সামাজিক বনায়ন ও কৃষিকাজ।
 

তিন কিলোমিটার সড়কের দুপাশে চোখে পড়ছে সারি সারি দেশীয় ফলের গাছ ও শাকসবজির মাচা। সবজি গাছে সবুজ লতাপাতা, ফুল-ফলে মাচাগুলো ভরে গেছে। সুপারি ও পেঁপের গাছও লাগিয়েছেন। গ্রামীণ সড়কের দু'পাশের সৌন্দর্য প্রকৃতিতে চিরসবুজে ফুটে উঠেছে।
 

এসব সবজি ও দেশীয় ফল-মূল যেমন পুষ্টির চাহিদা মেটাবে, তেমনি উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হবে। পাশাপাশি সড়কের স্লোপ ও সোল্ডার রক্ষণাবেক্ষণ হবে।
 

সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা এলজিইডির দায়িত্বরত এলসিএস কর্মীরা গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন উপজেলা প্রকৌশলী, সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করছেন।
 

সড়কে পরিচর্যাকারী এলসিএস কর্মী শ্রীমতি মঞ্জুরি রানী বলেন, “সকাল আটটা থেকে রাস্তায় আছি, রাস্তায় কাজ করি, গাছের পরিচর্যা করছি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”
 

এলাকাবাসী মোস্তাফিজুর রহমান রিন্টু বলেন, “গ্রামবাসী হিসেবে আমরা খুবই খুশি। এখান থেকে আমরা পেঁপে পেয়েছি, বেগুন খেয়েছি। আমরা অনেকেই উপকৃত হয়েছি।”
 

পাথরডুবি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম মাস্টার এ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “অবহেলিত এই এলাকায় সবুজ শ্যামল বৃক্ষরাজি দিয়ে বনায়নের মাধ্যমে একটি আদর্শ সড়কে পরিণত হয়েছে।”
 

উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, “প্রকল্পের আওতায় তিন কিলোমিটার সড়কে করা হয়েছে সুন্দর একটি সামাজিক বনায়ন। এখানে তিন ধরনের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানো হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মহোদয় স্বয়ং এ প্রকল্পের মনিটরিং করছেন। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এ প্রকল্প শতভাগ সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি।”