মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ধরনের বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সহায়তা অনুমোদন বন্ধ রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে, ইউএসএআইডি (যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) বাংলাদেশে তাদের অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্প ও কর্মসূচি অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
রোববার, ২৬ জানুয়ারি, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের পরিচালক রিচার্ড অ্যারন সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্যে একটি চিঠি জারি করেন। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জানানো হয় যে, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি, কাজের আদেশ, অনুদান এবং কোঅপারেটিভ চুক্তির অধীনে চলমান কার্যক্রমগুলো স্থগিত করা হয়েছে।
চিঠিতে ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং আরও বিভিন্ন খাতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ:
ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিদেশি উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমে ৯০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। তবে আদেশের পুরো পরিসর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বাংলাদেশে মার্কিন তহবিলপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন এনজিও, গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থা, মৌলিক শিক্ষা, পরিবেশ, এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএসএআইডি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তবে জরুরি খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে এই আদেশের তেমন প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন অনুদানপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো আদেশের প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।