ডাকসু নির্বাচন: শীর্ষ তিন পদে শিবির–সমর্থিত প্রার্থীদের জয়

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ   |   ১০৪ বার পঠিত
ডাকসু নির্বাচন: শীর্ষ তিন পদে শিবির–সমর্থিত প্রার্থীদের জয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শীর্ষ তিনটি পদেই বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির–সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন।
 

ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পান ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং শামীম হোসেন পান ৩ হাজার ৮৮৩ ভোট।
 

জিএস পদে জয়ী হয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্রার্থী তানভীর বারী হামীম পান ৫ হাজার ২৮৩ ভোট এবং প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পান ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
 

এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান নির্বাচিত হয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল–সমর্থিত তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৪ হাজার ২৫৪ ভোট।
 

এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন।
 

ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী এবং হল সংসদের ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। প্রতিটি ভোটারকে দিতে হয়েছে মোট ৪১টি ভোট।
 

ফলাফল ঘোষণার সময় জানা যায়, অধিকাংশ হলে শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জয় পান। তবে ব্যতিক্রম ছিল জগন্নাথ হল, যেখানে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম মাত্র ১০ ভোট পান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদুল ইসলাম খান পান ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
 

ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। হলভেদে ভোট কাস্টের হারও ছিল বেশ উঁচু। এর মধ্যে সূর্যসেন হলে ৮৮ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৮৬ শতাংশ এবং বিজয় একাত্তর হলে ৮৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রী হলগুলোয় অংশগ্রহণ কিছুটা কম ছিল—কবি সুফিয়া কামাল হলে ৬৪ শতাংশ এবং শামসুন নাহার হলে ৬৩.৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।