ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তিস্তা নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত দুই সপ্তাহে নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ৫০ মিটার বাঁধের রাস্তা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি এবং অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একটি স্লুইস গেট এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। ভাঙন কবলিতরা তাদের জমিজমা হারিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত হচ্ছে। বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামার হাট ও খামার দামার হাট গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে তীড়ে ঘড়াই দেওয়ার জন্য ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। কাজ শুরু হবে দ্রুত।
তবে স্থানীয়রা দীর্ঘমেয়াদী সমাধান চায়। তাদের দাবি, নদীর তীরে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর ভাঙন কুড়িগ্রামের একটি সনাতন সমস্যা। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও জমিজমা হারিয়ে থাকে।