শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি: লক্ষণ ও কারণ

প্রকাশকালঃ ১১ আগu ২০২৪ ০৯:০৩ অপরাহ্ণ ৩৮৮ বার পঠিত
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি: লক্ষণ ও কারণ

ঢাকা প্রেস নিউজ


প্রোটিন আমাদের শরীরের এক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি পেশি গঠন, ক্ষত সারানো, হরমোন উৎপাদনসহ নানা জৈবিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ:

  • অতিরিক্ত ক্ষুধা: প্রোটিন শরীরে দীর্ঘক্ষণ পূর্ণতা বোধ করায়, এর অভাব হলে ঘন ঘন খিদে লাগতে পারে।
  • ক্লান্তি ও দুর্বলতা: প্রোটিন শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। এর অভাবে কাজ করার ক্ষমতা কমে যায় এবং সারাদিন ক্লান্ত লাগতে পারে।
  • পেশি দুর্বলতা: প্রোটিন পেশি গঠনের মূল উপাদান। এর অভাবে পেশি দুর্বল হয়ে যায়, এবং শারীরিক কার্যকলাপে অসুবিধা হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এর অভাবে সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • চুল ও ত্বকের সমস্যা: চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, নখ ভেঙে যাওয়া প্রোটিনের অভাবের লক্ষণ হতে পারে।
  • ক্ষত সারতে দেরি হওয়া: প্রোটিন ক্ষত সারানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এর অভাবে ক্ষত সারতে অনেক সময় লাগে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর অভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

প্রোটিনের ঘাটতির কারণ:

  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না খাওয়া।
  • শোষণের সমস্যা: কোনও রোগের কারণে শরীর প্রোটিনকে যথাযথভাবে শোষণ করতে না পারা।
  • কিডনি রোগ: কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রোটিন যথাযথভাবে শোষণ করতে সমস্যা হয়।
  • অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা বা বুলিমিয়া নার্ভোসা: এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলে।

প্রোটিনের ঘাটতি দূর করার উপায়:

  • সুষম খাদ্য গ্রহণ: দৈনিক খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, বাদাম, মটরশুটি, মসুর ডাল ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ: যদি আপনার মনে হয় আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব আছে, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন: প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুস্থ থাকতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন খান।

এই তথ্যটি শুধুমাত্র সাধারণ ধারণার জন্য। কোনো রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন।