 
                            
কুমিল্লায় অবৈধ এলপিজি ক্রস ফিলিং বন্ধ করার শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
সোমবার দুপুরে কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বোর্ডে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন মেঘনা ফ্রেশ এলপিজি লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার আবু সাঈদ রাজা, অরিয়ন এলপিজির সিও অনুপ কুমার সেন, ইউরো গ্যাস কোম্পানির সিও মীর তারিকুল ইসলাম, বিএম এলপিজির জিএম অলক কুমার পন্ডিত, ওমেরা গ্যাসের হেড অফ সেলস মোঃ রুকনুজ্জামানসহ আরও অনেকে। সভার প্রধান শ্লোগান ছিল— “সঠিক সিলিন্ডার ব্যবহার করুন, দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলুন।”
 
কুমিল্লা এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আমানত উল্লাহ সভার সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রজেক্টের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ফ্রেশ এলপিজির ডেপুটি ম্যানেজার ও আহবায়ক এলপিজি লিডার্স কুমিল্লা বিভাগ (লোয়াব) হোসাইন মারুফ। এছাড়াও বক্তৃতা করেন মাহবুবুল ইসলাম (সিবিও জি গ্যাস), সিফাত মঞ্জুর (সিনিয়র ম্যানেজার, ইউনিটেক্স), আবু বকর সিদ্দিক (এনএসএম, বেক্সিমকো), রফিকুল ইসলাম (এজিএম, ফ্রেশ) এবং মুকিত ইবনে সিদ্দিকী (সিনিয়র ম্যানেজার, ফ্রেশ এলপিজি)। সভার সঞ্চালনা করেন এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনি মুক্তা পাল।
 
বক্তারা জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন থেকে অনেক কোম্পানির সিলিন্ডারে অবৈধভাবে গ্যাস রিফিল করা হচ্ছে। সিলিন্ডারের মেয়াদ ও ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই এ রিফিলিংয়ের কারণে বহু দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যক্তি ওজন কমিয়ে বাজারজাত করায় সাধারণ গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এবং যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে পরিবেশকরা ও ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছেন। বক্তারা অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কড়া আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান।
 
আলোচনা সভায় জেলার ২২টি কোম্পানির প্রতিনিধি এবং এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটররা অংশ নেন।
 
                                                
                                                 
                                                
                                                 
                                                
                                                