ঢাকা প্রেসঃ
ওজন বৃদ্ধি: মিষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। নিয়মিত মিষ্টি খেলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাতের খাবারের পর মিষ্টি খেলে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা দেয় কারণ রাতের বেলায় আমরা কম সক্রিয় থাকি এবং খাবারের মাধ্যমে গৃহীত ক্যালোরি খরচ করতে পারি না।
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি বিশেষ ক্ষতিকর কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। রাতের খাবারের পর মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
পেটের সমস্যা: মিষ্টিতে ল্যাকটোজ থাকে যা কিছু লোকের হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর ফলে পেট ফোলাভাব, গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাতের খাবারের পর মিষ্টি খেলে এই সমস্যাগুলি আরও বেশি প্রকট হতে পারে।
দাঁতের সমস্যা: মিষ্টিতে থাকা চিনি দাঁতের ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি অ্যাসিড তৈরি করে যা দাঁতের পাতলা আবরণ ক্ষয় করে ফেলে এবং ক্যাভিটির কারণ হয়। রাতের বেলায় মিষ্টি খেলে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যায়, ফলে দাঁত পরিষ্কার না হলে ব্যাকটেরিয়া আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কারণ এটি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং HDL (ভাল) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
ঘুমের সমস্যা: রাতের খাবারের পর মিষ্টি খেলে ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে। কারণ মিষ্টি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তোলে এবং তারপর দ্রুত কমিয়ে দেয়, যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
মানসিক সমস্যা: অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া মেজাজের ওঠানামা, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যার সাথে যুক্ত।
অন্যান্য সমস্যা: মিষ্টি খাওয়ার ফলে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন: