৬৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে দেশের বাইরে চলে গেছে
প্রকাশকালঃ
১৬ মার্চ ২০২৩ ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ ৪২১ বার পঠিত
দুর্নীতি করলে জনগণ ভোট দেয় না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এ জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট চুরি করতে হয়। এই ভোট চুরির মাধ্যমে তারা দুর্নীতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, এর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।
গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক প্রতিবাদসভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, জনগণের ভোটের অধিকার নেই। দেশে দুটি জিনিসই আমরা শুধু দেখি। একটি হলো ভোট চুরি, আরেকটি হলো দুর্নীতি। আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি না। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি ঠিকই, কিন্তু কথা বলার পর বেঁচে থাকব কি না সেই নিশ্চয়তা নেই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে আমদানি, রপ্তানি থেকে শুরু করে উৎপাদমুখী শিল্প কারখানা কোনো কিছুতেই স্বস্তি নেই। কারণ ব্যাংক নিয়মিত নিয়ম অনুযায়ী টাকা দিতে পারে না। তারা (ব্যাংক) অনিয়মের টাকা এত বেশি দিয়ে ফেলছে যে, এখন নিয়মমাফিক টাকা দিতে পারে না। গত তিন মাসে দুই-তিনটি ব্যাংক থেকে ৬৯ হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে। এত টাকা যদি বিদেশে চলে যায়, তাহলে ব্যাংকগুলোর আজকের আর্থিক অবস্থা কী? তারা ব্যবসায়ীদের কি দেবে?
গয়েশ্বর বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ ছিল মেগা দুর্নীতির একটি ক্ষেত্র, একটি প্রক্রিয়া। দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে, সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র যদি চালু থাকে, তাহলে আমাদের বিদ্যুতের সমস্যা থাকে না। কিন্তু সেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ। তবে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি ট্র্যাক্স প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজন্য সরকার ফটকা ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি মাসে ২৭৯ কোটি ডলার গচ্ছা দিচ্ছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।