ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে আঘাত হানার অনুমতি দিলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের বিরুদ্ধে কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বুধবার প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর সিনিয়র সম্পাদকদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন পুতিন।
এসময় পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমারা এই ধারণা ভুল যে রাশিয়া কখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না এবং ক্রেমলিনের পারমাণবিক মতবাদকে হালকাভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।’রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার জন্য ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গের আহ্বান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে,
জবাবে পুতিন বলেন: ‘কিয়েভকে আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হানার অনুমতি দেওয়া একটি গুরুতর বৃদ্ধি যা রাশিয়া ও পশ্চিমাদের যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।’ইউক্রেনকে দেওয়া পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো- বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) এবং ব্রিটিশ ও ফরাসি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে পুতিন আরও বলেন, মস্কো একই ধরনের উচ্চ-প্রযুক্তি, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা বিবেচনা করছে।
এরআগে গত মাসে কিয়েভ সফরের সময় সহায়তা দেওয়া অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, ‘কিয়েভের বাহিনী রাশিয়ার অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুতে ব্রিটিশ দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারবে। ব্রিটেনের সরবরাহ করা অস্ত্র কীভাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে লন্ডন কোনো শর্ত জুড়ে দেয়নি।’
এরপরই যুক্তরাজ্যের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালায় তবে ইউক্রেনসহ বিশ্বের অন্য দেশেগুলোতে ব্রিটিশ সামরিক স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলার হুমকি দেয় রাশিয়া।
এছাড়া সেসময় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মস্কোতে নিয়োজিত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত নাইজেল কেসিকে ডেকে পাঠিয়েছে এবং প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে।