বাংলাদেশে প্রথম ওয়ান টু ওয়ান কাস্টমাইজড লার্নিং এনেছে মজারু: এবার শিশুরা শিখবে তার নিজস্ব গতিতে

প্রকাশকালঃ ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৩৮ অপরাহ্ণ ১৮৬ বার পঠিত
বাংলাদেশে প্রথম ওয়ান টু ওয়ান কাস্টমাইজড লার্নিং এনেছে মজারু: এবার শিশুরা শিখবে তার নিজস্ব গতিতে

ঢাকা প্রেস,মোহাম্মদ তারেক:-

 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ওয়ান টু ওয়ান কাস্টমাইজড লার্নিং সার্ভিস চালু করেছে ই-লানিং প্ল্যাটফর্ম মজারু এডুকেশন টেকনোলজিস লিমিটেড। এই সার্ভিসে একজন শিক্ষার্থীর প্রয়োজন ও জ্ঞানের স্তর যাচাই করে শুধুমাত্র তার জন্য পাঠ পরিকল্পনা ও কনটেন্ট তৈরি করে একজন শিক্ষকের তত্বাবধােনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। ওয়ান টু ওয়ান ক্লাসের এই প্রিমিয়াম সার্ভিস বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে ৩ থেকে ১৫ বছরের শিশু-কিশোররা নিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোর হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন মজারুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্স। এসময় উপস্থিত ছিলেন মজারুর চিফ একাডেমিক অফিসার আসাদ জোবায়ের, মজারুর উপদেষ্টা ও অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা আলী আদনান, ডেপুটি ম্যানেজার জান্নাতুন নাইমসহ কোম্পানির উর্দ্বতন কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রচলিত শ্রেণিভিত্তিক বা ব্যাচভিত্তিক শিক্ষাপদ্ধতিতে একদিকে দুর্বল শিক্ষার্থীরা নলেজ গ্যাপ নিয়ে এগিয়ে যায়, অন্যদিকে অতি মেধাবীরা ক্লাস বা ব্যাচের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে তাদের মেধা অনুযায়ী দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু এই কাস্টমাইজড শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তার নিজের গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, সামাজিক বিকাশে পিছিয়ে থাকা শিশু, দেরিতে কথা বলা শিশু, প্রবাসী শিশুরা এই সার্ভিসে যুক্ত হয়ে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী শিখতে পারবে।

মজারুর সিইও আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্স এসময় বলেন, মজারু অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে গুণগত শিক্ষা পৌঁছে দিতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারেরও বেশি শিশুকিশোর মজারুর সেবা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি লাইভ ক্লাস করছে। মজারুর সাথে রয়েছে তিন শতাধিক শিক্ষক, যারা মজার ছলে শিশুদের শেখাচ্ছেন। এই জার্নিতে অভিভাবকদের কাছ থেকেই দাবি উঠেছে পার্সনালাইজড ও কাস্টমাইজড শিক্ষা নিয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রোগ্রাম চালুর আগেই অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা পাইলটিং হিসেবে এই সার্ভিস দেওয়া শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এই সার্ভিস নিয়েছে এবং নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রোগ্রাম আমরা শুরু করতে যাচ্ছি।

মজারুর চিফ একাডেমিক অফিসার আসাদ জোবায়ের বলেন, শিশুরা যাতে তার মেধা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই প্রোগ্রাম। এখানে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে প্রথমেই তার একটা পরীক্ষা নিয়ে তার মেধার স্তর যাচাই করা হবে। এরপর সেই অনুযায়ী তার জন্য কারিকুলাম ও কনটেন্ট তৈরি করবে মজারু। এরপর একজন শিক্ষকের তত্বাবধানে তার ক্লাস শুরু হবে। বর্তমানে ২৩৬জন প্রবাসী শিক্ষার্থী মজারুতে ক্লাস করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রবাসীদের মধ্যে অনেকেই ওয়ান টু ওয়ান সার্ভিসে যুক্ত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মজারুতে বর্তমানে ২০টির মতো কোর্স রয়েছে, যেখানে ১৮ থেকে ২০ জনকে নিয়ে ব্যাচভিত্তিক লাইভ ক্লাস হয়। বর্তমানে এরকম পাঁচ শতাধিক ব্যাচ রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৫০টি লাইভ ক্লাস হয় মজারুর লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে।