শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিমানবন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারা ব্যর্থ হয়নি। চার মিনিটের মধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটির চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ফায়ার ব্রিগেডের অন্যান্য ইউনিটও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সেখানে যোগ দেয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারণ ওই এলাকায় খাদ্যপণ্য ছিল বেশি, কেমিক্যাল নয়।”
তিনি আরও জানান, আগুনের উৎস এবং কোনো অব্যবস্থাপনা দায়ী ছিল কিনা—তা খতিয়ে দেখবে আগত বিশেষজ্ঞ দলগুলো।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ইলেকট্রনিক গেট দ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত ভোগান্তি কমাতেও সরকার পদক্ষেপ নেবে।”
বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিটের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে ফায়ার ইউনিট বিমান পরিচালনার জন্য কাজ করে, সেটি কার্গো ভিলেজেও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই—যেমন বাসায় যে পোশাক পরা হয়, প্রয়োজনে তা পরে আত্মীয়ের বাড়িতেও যাওয়া যায়।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় আকস্মিকভাবে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিমানবন্দর ফায়ার সেকশন, বিমান বাহিনীসহ মোট ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট টানা ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)-এর দাবি অনুযায়ী, এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।