চার দিনের সফরে আজ  চীনের বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশকালঃ ০৮ জুলাই ২০২৪ ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ ৫০৫ বার পঠিত
 চার দিনের সফরে আজ  চীনের বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আজ  চীনের বেইজিং সফরে যাচ্ছেন। চার দিনের এই সফরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে বৈঠক করবেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। একইদিন চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক অভ্যর্থনা জানানো হবে। আগামী ৯ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না, শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনটিতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল চীন সফর করবে। ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ‘চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনজারটেটিভ কনফারেন্স’ (সিপিপিসিসি)-এর ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুয়িংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

 

এদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী তিয়েন আনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। রাতে তিনি বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন। ১০ জুলাই তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী (প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল) দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত ব্যাংকুয়েটের (ভোজের) মাধ্যমে গ্রেট হলে উল্লিখিত সাক্ষাতের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। ১০ জুলাই বিকালে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করবে।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল স্বাধীনতারও আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ সালে ঐতিহাসিক চীন সফরের মাধ্যমে। ওই সময় চীনের তৎকালীন নেতা মাও সেতুং-এর সঙ্গে জাতির পিতার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু রচনা করেন ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি। চীন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, যার ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান আছে। ২০১৬ সালে শি জিনপিং-এর ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে চীনের পক্ষ থেকে সরকারি সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়। চীন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসাবে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।