১ জুন ২০২৪ সাল থেকে সারা দেশে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে।এই বছরের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-এর লক্ষ্য হলো ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে সারা দেশে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন সব শিশুদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্ধত্ব রোধে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এছাড়াও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাড়ে। এছাড়াও রাতকানা রোগ, হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো রোগ কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন এ।
তিনি বলেন, ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় দুই কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রত্যেকেই তাদের শিশুদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এক হাজার ২২৪টি কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এসব কেন্দ্রে পরবর্তীতে এক কর্মসূচি পালন করা হবে।