মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘গণভোট অধ্যাদেশ–২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
একটি মাত্র প্রশ্ন থাকবে:
জুলাই জাতীয় সনদ আদেশ ও সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবে ভোটার সম্মত কি না
✔️ হ্যাঁ – সম্মত
❌ না – অসম্মত
ব্যালটপত্র আলাদা রঙের হবে, তবে
🖋️ ভোট দেওয়ার জন্য আলাদা সিল থাকবে না—একই সিল দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট উভয় ভোটই প্রদান করা হবে।
একই কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন:
রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে পোলিং অফিসার—যারা জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তারাই গণভোট পরিচালনা করবেন।
গণনার সময়ও একসঙ্গে হবে নির্বাচন ও গণভোটের ভোট গণনা।
যেহেতু গণভোটে ৪টি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন রয়েছে, তাই বুঝতে যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য
📢 ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে, জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন –
“মূল প্রচারণা চালাবে নির্বাচন কমিশন, পাশাপাশি সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংও কাজ করবে। অতিরিক্ত প্রচারণার মাধ্যমেই ‘না বোঝার জটিলতা’ দূর হবে।”
ইসি সচিব আখতার হোসেন জানান:
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট—দুই ক্ষেত্রেই পোস্টাল ব্যালটের সুযোগ থাকবে
নির্বাচনী ব্যালট হবে সাদা কাগজে কালো প্রতীক,
আর গণভোটের ব্যালট হবে রঙিন কাগজে দৃশ্যমান কালি দিয়ে।
ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের বিষয়ে সরকারি প্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে।
গত ২০ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভোট আইন অনুমোদন করে সরকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই অংশ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে ‘গণভোট অধ্যাদেশ–২০২৫’।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।