নতুন ভোটগ্রহণের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৭ অপরাহ্ণ   |   ৩০৪ বার পঠিত
নতুন ভোটগ্রহণের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের

ঢাকা প্রেস নিউজ
 

জাতীয় বা স্থানীয় সরকারের যেকোনো নির্বাচনেই যদি ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তবে পুনরায় ভোটগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এর পাশাপাশি সরকারের সামনে আরও কিছু সুপারিশ রাখা হয়েছে।
 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে ড. বদিউল আলম মজুমদার নেতৃত্বাধীন কমিশন।
 

প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো হলো:

নির্বাচন ব্যবস্থা:

  • ইভিএম ব্যবহার বাতিল: নির্বাচন ব্যবস্থায় ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।
  • আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিস্তৃতি: নির্বাচনকালীন সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে প্রতিরক্ষা বিভাগের অন্তর্ভুক্তি।
  • পুনঃনির্বাচন: কোনো নির্বাচনী আসনে ৪০% ভোট না পড়লে পুনঃনির্বাচনের প্রস্তাব।
  • বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ: ‘না-ভোট’ বিধান চালু করা যাতে ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করা যায়। এই প্রক্রিয়া বিজয়ী হলে নির্বাচন বাতিল হবে এবং প্রার্থী পুনরায় প্রার্থী হতে পারবেন না।
     

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

  • ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া বন্ধ করা।
  • ফেরারি আসামির প্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধ।
  • বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের প্রার্থী হওয়ার বিধান সংশোধন।
  • গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া বন্ধ করা।
  • স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধ।
  • মতপ্রকাশে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১০% মনোনয়ন সুযোগ।
     

মনোনয়নপত্র:

  • মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা: সশরীরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি।
  • আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিধান।
     

নির্বাচনী ব্যয়:

  • নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ: প্রতি ভোটারের জন্য ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ।
  • ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যয় পরিচালনা।
     

নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

  • নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন।
  • প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা।
     

এছাড়াও, সংস্কার কমিশনগুলো সংবিধান, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশও জমা দিয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, যা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে।