গত শুক্রবার রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে ওয়াং তাও সরাসরি চলে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে—সুরমার বাড়িতে। তাঁর আগমনেই এলাকায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক কৌতূহল, স্থানীয়রা ভিড় জমায় বিদেশি পাত্রকে এক নজর দেখার জন্য।
পরিবারের সদস্য ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘ওয়ার্ল্ড টক’ অ্যাপের মাধ্যমেই ওয়াং তাও ও সুরমা আক্তারের পরিচয় ঘটে। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে গভীর সম্পর্ক। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বাংলাদেশে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়াং তাও।
সুরমার পরিবার জানিয়েছে, রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা।
সুরমার মা নুরেনা খাতুন বলেন,
“আমার মেয়ের ভালোবাসা পেতে সে চীন থেকে এসেছে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েছে।”
সুরমা আক্তার জানান,
“ও খুব অল্প সময়েই আমাকে আপন মনে করতে শুরু করে। বলেছে, বিয়ের পর এক মাসের মধ্যেই আমাকে চীন নিয়ে যাবে।”
ওয়াং তাও পেশায় একজন ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছেন তিনি।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন,
“শুনেছি, চীনের এক যুবক বিয়ের জন্য এসেছে। বিস্তারিত এখনও জানি না।”
নাসিরনগর থানার কুন্ডা বিট অফিসার মো. জাহান-ই-আলম বলেন,
“পাসপোর্ট যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছি, সে চীনের নাগরিক। শুনেছি, আদালতে তাদের বিয়ে হবে।”
🌸 প্রেমের গল্পটি এখন নাসিরনগরের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু — বিদেশি প্রেমিকের আগমনে যেন সিনেমার দৃশ্য বাস্তব হয়ে উঠেছে গ্রামজুড়ে।