বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত তাজিংডং ভ্রমণ গাইড

প্রকাশকালঃ ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:৫৫ অপরাহ্ণ ২৬১ বার পঠিত
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত তাজিংডং ভ্রমণ গাইড

তাজিংডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত। এটি বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। সরকারিভাবে তাজিংডং এর উচ্চতা ১,২৮০ মিটার (৪,১৯৮ ফুট) বলে স্বীকৃত। তবে বেসরকারি কিছু গবেষণায় বলা হচ্ছে যে মদক তং বা সাকা হাফং তাজিংডং এর চেয়েও উঁচু।তাজিংডং পাহাড়ে ট্রেকিং করা বেশ জনপ্রিয়। পাহাড়ের চূড়া থেকে মনোরম দৃশ্য দেখা যায়।

 

কিভাবে যাবেন

আপনাকে প্রথমে বান্দরবান আসতে হবে তাজিংডং যাবার জন্যে। দেশের যেকোনো জেলা থেকেই বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। ঢাকার কলাবাগান, সায়দাবাদ এবং ফকিরাপুল থেকে শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, ডলফিন ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর যেকোনো একটি বাসে চড়ে সহজেই বান্দরবানের আসতে পারেন।এছাড়া মহানগর, তূর্ণা কিংবা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে প্রথমে চট্টগ্রামে তারপর সোজা বান্দরবানে চলে যেতে পারেন। চট্টগ্রাম শহরের বদ্দারহাট থেকেও পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের নন-এসি বাস ৩০ মিনিট পরপর বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।এরপর বান্দরবান শহর থেকে বগালেক যেতে প্রথমে যেতে হবে রুমা বাজার। বান্দরবান থেকে রুমা বাজারের দূরত্ব ৪৮ কিলোমিটার। লোকাল বাস কিংবা চাঁন্দের গাড়ি/জীপে করে রুমা বাজার যাওয়া যায়। বাসে যেতে হলে বান্দরবানের রুমা বাস স্ট্যান্ডে যেতে হবে। সেখান থেকে ১ ঘণ্টা পর পর বাস রুমার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দলগত ভাবে গেলে রুমা বাজার যেতে পারেন জীপ/চাঁন্দের গাড়িতে করে। এক গাড়িতে ১০-১৫ জন যাওয়া যায়। বান্দরবান শহরের জীপ স্টেশন ৩০০০-৪০০০ টাকা ভাড়ায় গাড়ি নিতে হবে।জীপে করে গেলে সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মত। রুমা বাজার পৌঁছে আপনাকে গাইড ঠিক করে নিতে হবে। রওনা হবার আগে রুমা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে যাবার অনুমতি নিতে হবে। সেখানে নিয়ম অনুযায়ী নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার লিপিবদ্ধ করতে হবে। আর অবশ্যই মনে রাখবেন বিকেল ৪ টার পর রুমা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি কিছুতেই মিলবেনা। রুমা উপজেলা সদর থেকে পায়ে হেঁটে বগালেক হয়ে কেওক্রাডং এর পাশ দিয়ে আপনাকে তাজিংডং যেতে হবে।

কোথায় থাকবেন

বান্দরবানে পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল,রিসোর্ট এবং গেস্টহাউস রয়েছে। এ ছাড়া তাঁবুতে রাত যাপনের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। এখানে থাকতে প্রতিদিন রুমপ্রতি গুনতে হবে দেড় থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক আকর্ষণীয় কটেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সঙ্গে খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে। এখানে থাকতে হলে প্রতিদিন গুনতে হবে ২ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।