চট্টগ্রামে হবে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:৩৪ অপরাহ্ণ   |   ০ বার পঠিত
চট্টগ্রামে হবে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

 

চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, মুখ ও চোয়ালের রোগ, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত এবং ওরাল ক্যানসারের চিকিৎসায় বিশেষায়িত জনবল ও অবকাঠামো গড়ে তোলা এখন জনস্বাস্থ্যের একটি অগ্রাধিকার বিষয়।
 

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নগরীর চিটাগং ক্লাবে অনুষ্ঠিত “দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অন ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি”-তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব তথ্য জানান। সম্মেলনটির আয়োজন করে চিটাগং ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি স্টাডি গ্রুপ।
 

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল স্বাস্থ্য দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত একটি ক্ষেত্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন মুখগহ্বরজনিত রোগে আক্রান্ত, এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওরাল ক্যানসার একটি সাধারণ ক্যানসার। তিনি জানান, বাংলাদেশেও ওরাল ক্যানসার শীর্ষস্থানীয় ক্যানসারের মধ্যে অন্যতম, যার প্রধান কারণ হলো তামাক, ধূমপানবিহীন তামাক এবং পান-সুপারি সেবন।
 

মেয়র আরও বলেন, নগরায়ণ, সড়ক দুর্ঘটনা এবং পেশাগত ঝুঁকির কারণে মুখ ও চোয়ালের জটিল আঘাতের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দেশের বড় শহরের বাইরে এই ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা এখনও সীমিত। তিনি স্থানীয় সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকবিরোধী কার্যক্রম জোরদার এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করাই ঝুঁকি কমানোর প্রধান উপায়।
 

চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করার মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি, গবেষণা সম্প্রসারণ এবং মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান মেয়র।
 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. পরিমল চন্দ্র মল্লিক, অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত প্রমুখ। মেয়র আয়োজনকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করে, যা শেষ পর্যন্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবায় রূপ নেয়।
 

সমাপনী বক্তব্যে মেয়র বলেন, ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল স্বাস্থ্যের উন্নয়নে নীতিনির্ধারক, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রতিরোধ, দ্রুত শনাক্তকরণ এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ (সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ) অর্জনে আরও এগিয়ে যেতে পারব।