ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে অস্ত্রের মুখে বাড়ির বাসিন্দাদের হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলকে ‘চিনে ফেলায়’ যুবককে হত্যা করে বাড়ি লুট করে চলে যায় ডাকাত দল। সোমবার (০৪ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবকের নাম হামিদুল ইসলাম আলে (২৯)। তিনি নগরাজপুর গ্রামের সুপারি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ছেলে। মূলত তার বাবার সুপারি ব্যবসা তিনি দেখাশোনা করে আসছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে ৬ থেকে ৭ জনের মুখোশ পরা সশস্ত্র ডাকাত দল রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকেই তারা প্রত্যেকের রুমে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। সবার হাত-পা, মুখ বেঁধে মারধর করতে থাকে। টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায় আছে, তা জানতে চায়। একপর্যায়ে বাড়িতে থাকা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা, ২ থেকে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নারীদের শরীরে থাকা আরও দুই-তিন ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
শফিকুল বলেন, ‘আমার ছেলে ডাকাত দলের সদস্যদের হয়তো চিনতে পেরেছিল। এজন্য ডাকাতরা তাকে বেদম মারপিট করে। মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে পেটাতে পেটাতে একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা ছেলেকে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’
শফিকুলের বরাতে তার চাচাতো ভাই শাহিন বলেন, ‘যারা ডাকাতি করতে এসেছিল খুব সম্ভবত তারা আলেদের পূর্বপরিচিত। আলের বাবা সুপারি ব্যবসা বাবদ ব্যাংকঋণের কথা তারা জানে। ডাকাতির সময় তারা “২৫ লাখ টাকা কোথায় রাখছিস” বলে আলের বাবাকে জেরা করেছে। আমার ভাই যে ২৫ লাখ টাকা ঋণ করবেন এটা ডাকাতরা কীভাবে জানলো? তবে তাদের ভাষা নাকি এই এলাকার ভাষা থেকে ভিন্ন।’
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আলামতগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই পুরো ডাকাত দলটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।'