জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো আশাবাদী যে তারা আগের মতোই শাপলা প্রতীক নিয়েই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে—“শাপলা প্রতীকের বিকল্প নেই।”
রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন আগের মতোই বর্বর ও স্বৈরাচারী কায়দায় চলছে। বর্তমান কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের যোগ্যতা রাখে না। ইসি এখন অন্য কারো রিমোট কন্ট্রোল বা প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।”
এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক নিয়ে একটি ধোঁয়াশা বা ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। কিন্তু জনগণের প্রতীক শাপলা জনগণের হাতেই ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এখনো আশাবাদী—শাপলা প্রতীক এনসিপিই পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন কঠিন হয়ে পড়বে। ইসিকে কারও পারিবারিক মালিকানায় পরিণত করা যাবে না—এটি জনগণের প্রতিষ্ঠান।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, “জুলাই সনদ আমরা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে গ্রহণ করতে চাই।”
এর আগে সকাল ১১টার দিকে এনসিপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে যায়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
উল্লেখ্য, আজই এনসিপির জন্য নির্বাচনী প্রতীক বাছাইয়ের শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে প্রতীক না বাছাই করলে ইসি নিজ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতীক নির্ধারণ করবে।
এর আগে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার ৫০টি প্রতীক থেকে পছন্দের প্রতীক বেছে নিতে এনসিপিকে চিঠি পাঠায় ইসি। তবে দলটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীক তারা গ্রহণ করবে না।