কিশোরীকে উত্ত্যক্তের জেরে দুই দিনের সংঘর্ষ, আহত ১৫

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:২৬ অপরাহ্ণ   |   ৮৪ বার পঠিত
কিশোরীকে উত্ত্যক্তের জেরে দুই দিনের সংঘর্ষ, আহত ১৫

শেরপুর প্রতিনিধি:-

 

শেরপুরে কিশোরীকে উত্ত্যক্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দু’দিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া সংঘর্ষ শনিবার বিকেল পর্যন্ত চলতে থাকে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্রসহ (রামদা, টেঁটা, বল্লম) অংশ নেয়, ফলে শেরপুর-জামালপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে যানবাহনগুলো বিকল্প পথে চলাচল করছে।
 

সংঘর্ষের সূত্রপাত: শেরপুর শহরের শেরীব্রিজ এলাকায় ৪.৫ একর জমির উপর বিস্তৃত সূর্যমুখী ফুলের বাগান প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বনভোজনের বাসসহ অনেক যানবাহন সেখানে জড়ো হলে যানজট সৃষ্টি হয়। এই সময় এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক।
 

এ ঘটনা মেনে নিতে পারেনি কান্দাশেরীরচর গ্রামের লোকজন। তারা ওই যুবককে ধরে মারধর করে। এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
 

আহত ও ক্ষয়ক্ষতি: সংঘর্ষে কান্দাশেরীরচরের হোসেন আলীর ছেলে ফারুক মিয়া, লাল মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া, ইয়াসিন আলীর ছেলে আব্দুল আলিমসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে শনিবার সকালে আবারও সংঘর্ষ শুরু হলে আরও ৫ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 

বিক্ষুব্ধ জনতা শেরপুর-জামালপুর সড়কের কুসুমহাটি বাজারে আগুন দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং কান্দাশেরীরচরের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
 

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ: সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শনিবার সকাল থেকে পুনরায় সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি খারাপ হলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে ব্যবস্থা নেয় এবং সূর্যমুখী বাগানে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
 

শেরপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিয়ান ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর টিম দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে।
 

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, "ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"