ঢাকা প্রেস
মোহাম্মদ তারেক,বিশেষ প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন EC4J (এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস) প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে একটি বিশ্বাসযোগ্য সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর জন্য রপ্তানি বাজারের সংযোগ জোরদার করা। এক্সপোর্ট কম্পেটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফরজি) এর আয়োজনে সম্প্রতি বগুড়ার বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ভবনের কনফারেন্স হলে, ‘বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি: রপ্তানী বাজারে সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সেমস-গ্লোবালের চিফ কনসালট্যান্ট জাবেদ আহমেদ। কর্মশালায় পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেমস-গ্লোবালের লিড কনসালট্যান্ট কে এম রাফিউল মুত্তাকিন এবং আল-আমিন, এজিএম, সেমস-গ্লোবাল।
বক্তারা প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য এবং মিট বাংলাদেশ এক্সপো (এমবিএক্স) ও মিট বাংলাদেশ সোর্সিং শো (এমবিএস) সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করে। পাশাপাশি, রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিতব্য মিট বাংলাদেশ এক্সপো (এমবিএক্স) স্থানীয় শিল্পের সাথে বৈশ্বিক সংযোগ স্থাপনের সুযোগ প্রদান করবে, যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক ক্রেতার সংস্পর্শে আসার সুযোগ তৈরি হবে বলেও বক্তারা জানান।
মিট বাংলাদেশ এক্সপো (এমবিএক্স), স্থানীয় ব্যবসায়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি বিস্তৃত প্ল্যাটফর্ম। দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে থাকছে পাঁচটি নির্বাচিত শিল্প খাতের শতাধিক স্থানীয় প্রদর্শনী স্টল, আন্তর্জাতিক ক্রেতা, সম্ভাবনাময় খাতের প্রদর্শনী, ব্রেকআউট সেশন, গালা ডিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে প্রদর্শকরা বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ, ব্র্যান্ড দৃশ্যমানতা, জ্ঞান ভাগাভাগি করা এবং সংশ্লিষ্ট খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি প্রভৃতির সুযোগ পাবেন।
এছাড়া নির্বাচিত রপ্তানি গন্তব্য দেশগুলোতে (ইইউ, উত্তর আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য প্রভৃতি) মিট বাংলাদেশ সোর্সিং শো (এমবিএস) আয়োজন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির উদ্যোগ বাস্তবায়ন, খাতভিত্তিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং টার্গেট মার্কেটে বিপণনসহ নানাবিধ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকছে।
বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের রপ্তানি বাজারে সম্ভাবনা অপরিসীম। এ উল্লেখযোগ্য খাতের আওতায় আছে মেডিকেল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট, প্ল্যাস্টিক পণ্য, ফুটওয়্যার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, লেদার পণ্য। এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার কৃষি যন্ত্রপাতি, স্বয়ংচালিত যন্ত্রাংশ এবং শিল্প সরঞ্জাম ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে বাংলাদেশের উৎপাদকরা এ বাজারগুলো পূরণ করার জন্য প্রস্তুত। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি বড় ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন দিলীপ কুমার দে, প্রোপাইটর, দিলীপ মেশিনারি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মোঃ সাইফুর রহমান মৃধা, মোঃ আল-হাজ্জ শেখ, মোঃ রাজেদুর রহমান রাজু, আল-আমিন, মোঃ যোতা মণ্ডল, মোঃ আব্দুল মালেক, এ.বি.এম. মাসুদ আলম এবং এম.এ. হাই। এ কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং রপ্তানির ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ভবিষ্যৎ উদ্যোগকে দিকনির্দেশনা প্রদান করবে বলে অংশগ্রহণকারীদের অভিমত।
উল্লেখ্য, আগামী ২৪-২৫ এপ্রিল ২০২৫, রাজধানীর কুড়িল সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি), মিট বাংলাদেশ এক্সপো (এমবিএক্স) অনুষ্ঠিত হবে।