বারবার ব্যর্থ হবার পরও নিজের কাজের উপর বিশ্বাস থাকায় দিন শেষে ধারাবাহিতা অর্জনে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। সবচেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একজন হিসাবে পরিচিতি পাবার পরও শুরুর দিকে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি শান্ত। এ কারনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলো ভক্তরা। কখনো কখনো সমালোচনা করতে গিয়ে তার পরিবারকে নিয়েও বাজে মন্তব্য করতে পিছপা হননি ভক্তরা।
শান্তকে নিয়ে সমালোচনা এবং অধারাবাহিক ব্যাটিং সত্ত্বেও তার সামর্থ্যের উপর আস্থা রেখেছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বারবার সুযোগ দেওয়া হয় তাকে। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর অবশেষে গত বছর থেকে প্রয়োজনীয় ধারাবাহিকতা খুঁজে পেয়েছেন শান্ত। তার ব্যাটিং পারফরমেন্স সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে শান্ত বলেন, ‘আমি সবসময় আমার অনুশীলনের ধরন এবং কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করি।
আমার বিশ্বাস ছিল, আমি সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি ও অনুশীলনে প্রয়োজনীয় চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, ‘রান না পেলে অবশ্যই আমার খারাপ লাগে। কিন্তু এটি সত্যি, ফল নিয়ে কখনোই খুব বেশি ভাবিনি। আমার চারপাশের নেতিবাচক আলোচনা নিয়েও কখনো ভাবিনি।
হ্যাঁ, অনেক সময় খারাপ লাগা কাজ করেছে। আমি বেশি চিন্তা করিনি। আমার লক্ষ্য ছিলো, যেখানে ঘাটতি সেখানে উন্নতি করা। তখন ফল আসেনি, এখন আসছে। এখন আমার লক্ষ্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।’
সম্প্রতি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দারুন কিছু ইনিংস খেলার পর, টেস্টেও নিজেকে মেলে ধরেছেন শান্ত। তার ১৪৬ রানের সুবাদে প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার জাকির হাসান আউটের পর ক্রিজে আসেন শান্ত। শুরতেই ক্রিজে আসলেও বিচলিত ছিলেন না শান্ত। শক্ত হাতে আফগানিস্তানের বোলারদের মোকাবেলা করে মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথে বড় জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থায় নেয়া চেষ্টা করেন শান্ত। তাতে সফল হয়ে ২১২ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও জয়।
শান্ত বলেন, ‘এমন গরম এবং আর্দ্রতার মধ্যে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। আমার মনে হয় না, আমরা আগে কখনও এমন কঠিন আবহাওয়ায় ক্রিকেট খেলেছি। আপনাপরা মনে করতে পারেন সহজভাবেই করেছি। কিন্তু সত্যি বলতে, আমাকে কষ্ট করে খেলতে হয়েছে।’ প্রথম দিন শেষে দল ভালো অবস্থায় আছে বলে বিশ্বাস করেন শান্ত। মুশফিকুর রহিম এবং মেহেদি হাসান মিরাজ নিজেদের জুটি যদি আরও বড় করতে পারেন তাহলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে তারা।
শান্ত বলেন, ‘আমরা ভালো অবস্থায় আছি। আফগান বোলাররা খারাপ বল করেনি। কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি। আমার আউটের পর আমরা কিছু উইকেট হারিয়েছি। কিন্তু এরপর মুশফিক-মিরাজ ভালো ভালো খেলে আমাদের ভালো অবস্থায় নিয়ে গেছে। যদি তারা বড় জুটি গড়তে পারে তবে ম্যাচ পুরোপুরিভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’