নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষার সময়কাল ৫ ঘণ্টা, লিখিত ৫০ শতাংশ

প্রকাশকালঃ ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ ১৬২ বার পঠিত
নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষার সময়কাল ৫ ঘণ্টা,  লিখিত ৫০ শতাংশ

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ২০২৬ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার নাম "মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)" হিসেবেই অপরিবর্তিত থাকবে। তবে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে।

 

দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা। প্রথম ধাপে কার্যক্রমভিত্তিক পরীক্ষায় অংশ নেবে পরীক্ষার্থীরা। সেখানে তারা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর হাতে-কলমে কাজ করে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা যাচাই করা হবে। এটি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত (মোট ৩ ঘণ্টা) চলবে। এরপর ওই কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় ধাপে প্রয়োজন অনুযায়ী এক বা দেড় বা দুই ঘণ্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবে। 

এনসিটিবির শিক্ষাক্রম সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান জানান, দুই ধাপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মূল্যায়নে সমতা রাখতে ওয়েটেজ (গড় গুরুত্ব) পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, দুটি পরীক্ষার মানবণ্টন সমান হবে, যেন তাদের গড় করে চূড়ান্ত মূল্যায়নে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে। অ্যাক্টিভিটিজ (কার্যক্রমভিত্তিক পরীক্ষা) ও রাইটিংয়ের (লিখিত পরীক্ষা) জন্য ওয়েটেজ হবে ৫০ শতাংশ করে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, কার্যক্রমভিত্তিক ও লিখিত পরীক্ষার বিষয়বস্তু কী হবে এবং কিভাবে পরীক্ষা নিতে হবে, তা পরীক্ষার দিন সকালে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে।


পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুধু এসএসসি নয়, অন্যান্য শ্রেণিতেও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে পরিবর্তন আসবে। পাঁচ দিনের পরিবর্তে এক দিনে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। আগে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে অ্যাসেসমেন্ট টুল (মূল্যায়ন পদ্ধতি) দেওয়া হতো। সেটি অনুসরণ করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঁচ দিনব্যাপী অ্যাসেসমেন্ট (মূল্যায়ন) কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে ধারণা দেওয়া হতো।


দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত তাদের রুটিন অনুযায়ী কার্যক্রমভিত্তিক কাজ দেওয়া হতো। সর্বশেষ পঞ্চম দিনে তাদের চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হতো। এখন থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে মূল্যায়ন টুলস না দিয়ে পরীক্ষার দিন সরাসরি বিদ্যালয়গুলোতে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সকালে শিক্ষকরা তা দেখতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী সেদিনই চূড়ান্ত মূল্যায়ন করতে হবে। ফলে আগে শিক্ষার্থীরা ইউটিউব বা অনলাইন থেকে দেখে দেখে যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিত, সেই সুযোগ আর থাকছে না।