তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ভঙ্গুর দেশের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা অত্যাবশ্যক। তবে তা না এলে আমাদের নিজেদের সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে হবে। এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।”
সৈয়দা রিজওয়ানা আরও জানান, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় শুধু আর্থিক নয়, প্রযুক্তিগত সহায়তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে আন্তর্জাতিক সহায়তা না এলে দেশের কৃষক, জেলে ও গ্রামীণ সমাজের প্রাকৃতিক জ্ঞান ব্যবহার করে জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, উপকূলীয় অঞ্চলে কমিউনিটি নিজ উদ্যোগে লবণাক্ততা কমিয়ে পানি সরবরাহ করেছে। তবে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “দুর্যোগে বাংলাদেশি মানুষ কখনো একে অপরকে ছেড়ে যায়নি। এই ঐক্যই আমাদের শক্তি, যা উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা আরও দৃঢ় করে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স করিন হেনচোজ পিগনানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে জেনল্যাব, যা ঢাকায় মানুষের জীবন, জলবায়ু ও সংস্কৃতির সংযোগকে কেন্দ্র করে ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যাট লোকাল লেভেল প্রকল্পের অংশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়েছে।