জিএম কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য ও ডাকাতির অভিযোগে মামলা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ মে ২০২৫ ০৪:২৯ অপরাহ্ণ   |   ৯৩ বার পঠিত
জিএম কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য ও ডাকাতির অভিযোগে মামলা

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 

শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য রাখেন।
 

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—জাপার অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি আকরাম, একই বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল, বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের জাপা সদস্য মো. সাঈদুল ইসলাম।
 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অংশ হিসেবে জিএম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা বাদী নাজমিন সুলতানার কাছ থেকে মনোনয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে দলের এক বৈঠকে প্রতিবাদ জানালে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও বেড়ে যায়।
 

অভিযোগ অনুযায়ী, পরে প্রতিশোধমূলকভাবে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাতে প্রায় ৪০-৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় বাদীর উত্তরার বাসায় হামলা চালায়। তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র, সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বাদী সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
 

মামলার বাদী নাজমিন সুলতানা তুলি বলেন, “আমি নরসিংদী-৪ আসন থেকে জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। জিএম কাদের আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় এবং দলীয়ভাবে অপদস্ত করা হয়। এই চক্রকে সহযোগিতা করে প্রশাসনের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। আমি দীর্ঘদিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম এবং সামাজিকভাবে অপমানের শিকার হয়েছি। আমি এই অপকর্মে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”