রোজা রেখে পান ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপকার

প্রকাশকালঃ ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৫৭ অপরাহ্ণ ৪৩৮ বার পঠিত
রোজা রেখে পান ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপকার

রীর সুরক্ষায় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এখন বেশ জনপ্রিয়। এর রয়েছে নানা শারীরিক উপকার। বেশ কয়েকভাবেই এই ফাস্টিং করা হয়। মূল ভাবনাটা হলো, দিনের একটা লম্বা সময় না খেয়ে থাকা। যাতে শরীরে জমে থাকা ক্যালরি খরচ হয়। সে জন্য অনেকে এক দিন পরপর না খেয়ে থাকেন। অনেকে আবার প্রতিদিনের একটা সুনির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকেন। এই দ্বিতীয় পদ্ধতিটা অনেকটাই রোজার সঙ্গে মিলে যায়। রোজায় যেমন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকা হয়। বছরভেদে রোজা রাখার সময়টা হয় ১২-১৬ ঘণ্টা। ফলে তাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের সব উপকারই পাওয়া যায়। জেনে নিন কী কী সে উপকার।

মেদ ঝরিয়ে ফেলুন
এই খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করে আপনার গ্রহণ করা ক্যালরি যেন সর্বোচ্চ খরচ হয়। সেই সঙ্গে দিনের একটা বড় সময় না খেয়ে থাকা হয়। সব মিলিয়ে নিয়ম মেনে রোজা রাখলে কমানো সম্ভব ওজন।

নিয়ন্ত্রণে আনুন রক্তচাপ
ওজন কমানোর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে রোজা রেখে বাগে আনতে পারেন রক্তচাপ। সেই সঙ্গে কমাতে পারেন রক্তে চিনির পরিমাণ। ফলে সামগ্রিকভাবে উন্নতি হবে আপনার স্বাস্থ্যের।

দূর হবে দূষিত পদার্থ
আপনি যে সময়টা পানাহার থেকে বিরত থাকছেন, সে সময়টা আপনার শরীরের কাজে লাগবে। কারণ তখন হজম প্রক্রিয়ার ওপর চাপ কমবে। সে বিশ্রাম পাবে। পাশাপাশি দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ায় মন দিতে পারবে।

ক্ষতিগ্রস্ত কোষ দূর করুন
প্রতিদিন নানা প্রক্রিয়ায় শরীরের অনেক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানাহার থেকে বিরত থাকার সময়টায় শরীর দূষিত পদার্থের পাশাপাশি এসব ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারাইয়ের কাজেও মন দিতে পারে।

বিপাক শক্তিশালী করুন
দীর্ঘ সময় পানাহার করা হয় না বলে কেবল যে হজম প্রক্রিয়ার ওপর চাপ কমে, তা–ই নয়; উন্নত হয় শরীরের বিপাকপ্রক্রিয়াও। ফলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।

এসব উপকার কীভাবে পাবেন
অবশ্য রোজায় এসব উপকার পেতে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষ করে ইফতারে। নইলে হতে পারে বিপরীত ফল। সে জন্য এ মাসে খাওয়ার বেলায় এই পরামর্শগুলো মেনে চলতে পারেন।

পরিমিত খান
দীর্ঘক্ষণ খেতে পারবেন না ভেবে অনেকেই সাহ্‌রিতে বেশি বেশি খান। অনেকক্ষণ পর খাচ্ছেন ভেবে অনেকে আবার একই ভুল করেন ইফতারে। কোনোটাই করা যাবে না। দুই সময়ই খেতে হবে পরিমিত। তবে পাতে যেন যথেষ্ট প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে সাহ্‌রিতে। খেতে পারেন ডিম, মাছ, চর্বিহীন মাংস। অথবা রাখতে পারেন উদ্ভিজ্জ আমিষ। যেমন ডাল, বীজ, ইত্যাদি।

দূরে রাখুন অস্বাস্থ্যকর খাবার
ইফতারে অনেক বাড়িতেই খাবারতালিকায় উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ, চিনিসমৃদ্ধ কিংবা তৈলাক্ত খাবারের আধিক্য থাকে। এগুলো বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। বরং ইফতারিতে রাখুন কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার। সম্ভব হলে খাবারের অর্ধেকই রাখুন ফলমূল।