ঈদের পর ৯ থেকে ২১ জুলাই রোড মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করল গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রকাশকালঃ ১৯ জুন ২০২৩ ০৫:৫০ অপরাহ্ণ ২৭৬ বার পঠিত
ঈদের পর ৯ থেকে ২১ জুলাই রোড মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করল গণতন্ত্র মঞ্চ

দের পর ১৯ থেকে ২১ জুলাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কমানোর প্রতিবাদে সচিবালয় বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, 'এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংবিধানের সংস্কারসহ ১৪ দাবিতে আমরা আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ করব। এর আগে গণতন্ত্র মঞ্চ জেলায় জেলায় ও বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করবে এবং ঢাকায় পদযাত্রা করবে। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনগণ শুধু সরকার বদল নয়, শাসন ব্যবস্থা বদলের লড়াইকে জয়যুক্ত করবে এই আশাবাদ আমরা ব্যক্ত করছি।'


জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুপুর ১২টায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ উপলক্ষে এই কর্মসূচি হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর দুপুর ১টায় মিছিল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মী তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট কাছে গেলে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, 'দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এই সরকারের অবস্থা ডায়েরিয়া ও কলেরার মতো হয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, মানবাধিকার, সুশাসন কিছুই নাই। এদের চলে যেতে হবেই।'

তিনি আরো বলেন, 'আইয়ুব খানও যেতে চায়নি কিন্তু পরে তাকে যেতে হয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকারকেও ক্ষমতা ছাড়তে হবে, তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। জনগণের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে হবে, এই সরকারকে চলে যেতে হবে। সরকারি দলের মন্ত্রীরা এমন কথা বলে অথচ এদের পায়ের তলায় মাটি আছে কিনা সেটা জানে না। ওদের যে মেইন খুটা তার নিচে মাটি নাই, ওটার অবস্থা নড়বড়ে।'


‘দেশের মানুষকে রাস্তায় নেমে দাবি আদায় করতে হবে' উল্লেখ করে রব বলেন, 'সবে মাত্র লোক নেওয়া বন্ধ হচ্ছে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে। আমি ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বলেছিলাম আপনারা (সরকার) বিভিন্ন বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নাম আমি বলছি না। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের অর্থ পাঠিয়েছে। আজকে প্রশাসনের দলীয় লোকজনকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। এটার পরিণতি শুভ হবে না।'

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।