শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসাইন খানের ফেসবুক আইডি সোমবার দুপুরে ডিজেবল হয়ে যায়। এ বিষয়ে একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন—
“আমাদের প্যানেলের প্রার্থীদের আইডিগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সাইবার হামলা হচ্ছে। কয়েকজনের আইডি সাসপেন্ডেড হয়ে গেছে, আবার কিছু আইডি পরপর লগআউট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ সহায়।”
অন্যদিকে, ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান এবং জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমও একই ধরনের হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান। তাদের ফেসবুক আইডি কিছু সময়ের জন্য ডিজেবল হয়ে যায়।
আবিদুল ইসলাম খান নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে লেখেন—
“কিছু সময়ের জন্য আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করে দেওয়া হয়েছিল। চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রিয় বাংলাদেশ, সজাগ থাকুন।”
তানভীর বারী হামিম তার পোস্টে উল্লেখ করেন—
“বারবার সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে আমার আইডি ডিজেবল করা হচ্ছে। প্রিয় ঢাবির শিক্ষার্থীরা, আপনাদের কাছে বিচার দিলাম। ইনশাল্লাহ, দেখা হবে বিজয়ে।”
এদিকে এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ অভিযোগ করেন, সোমবার দুপুরে তার আইডিতে একাধিকবার অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। তিনি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করলেও হামলা চলতে থাকে এবং একপর্যায়ে তার অ্যাকাউন্ট ৪৮ ঘণ্টার জন্য ডিজেবল হয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি শিবিরকে দায়ী করেন।
ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা জানিয়েছেন, তার ফেসবুক আইডি ‘গায়েব’ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন—
“গতকাল রাত থেকে আমার আইডিতে প্রচুর রিপোর্ট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেক প্রার্থীর আইডি গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। হল সংসদ বা কেন্দ্রীয় নির্বাচন—যাকে প্রতিপক্ষ মনে করা হচ্ছে তাকেই এভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন—
“ডাকসুর শুরু থেকেই আমার আইডির রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন সরাসরি আইডি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা এসব করছেন ও কেন করছেন তা সবারই জানা। আপনারা নেতৃত্বে এলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভিন্নমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কতটা থাকবে তা আগেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।”
উমামা ফাতেমা শেষ করেন এই মন্তব্য দিয়ে—
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচেতন। এভাবে নোংরামি করে ভোটে জেতা যাবে না।”