১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা কবে, জানাল এনটিআরসিএ

প্রকাশকালঃ ২৭ মে ২০২৪ ১২:০০ অপরাহ্ণ ৬৮৬ বার পঠিত
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা কবে, জানাল এনটিআরসিএ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এখন লিখিত পরীক্ষা কবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, জুলাই মাসের দুটি তারিখ প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে। শিগগিরই এটা চূড়ান্ত করা হবে।

 

এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ভেবেছি জুলাই মাসের ১২ বা ১৩ তারিখ লিখিত পরীক্ষা নেব। নির্বাচন, বাজেট এগুলোকে সামনে রেখে তারিখ ঠিক করা নিয়ে আমরা বসব। দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ১৫ মে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হয় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

 

এনটিআরসিএ ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে বিপুল পরিমাণ প্রার্থী পাস করতে পারেননি। এতে দেখা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

 

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ প্রার্থী। পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। তাই দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় অংশ নিলেও ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি।

 

গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল/সমপর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২–এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৫ প্রার্থী ৫ ও ৬ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।