ঋণ খেলাপি কমাতে কঠোর নীতি প্রণয়ন

প্রকাশকালঃ ১৫ জুন ২০২৩ ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ ১৪১ বার পঠিত
ঋণ খেলাপি কমাতে কঠোর নীতি প্রণয়ন

ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত ১০ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে তিন গুণ হয়েছে। তাই ঋণ খেলাপি কমাতে কঠোর নীতি প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ করা জরুরি। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের নেতারা এ মন্তব্য করেন। গত শনিবার ঢাকার বনানীর শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি এ কে আজাদ, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তপন চৌধুরী, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, ফজলুল হক, নাসের এজাজ বিজয়, আফতাব উল ইসলাম, মো. সামীর সাত্তার, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী প্রমুখ।


সভায় কার্যনির্বাহী বোর্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সম্মতি পূরণ করতে হবে।

তাই সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই সুশাসনের ওপর নজর দিতে হবে, যেখানে বাংলাদেশ এখনো বৈশ্বিক সূচকের অনেক নিচে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বড় স্বপ্ন পূরণের পেছনে বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে কয়েকটি সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন আইসিসিবির কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপযুক্ত আর্থিক ও রাজস্ব নীতি থাকা উচিত। অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানি, এলএনজি ও কয়লার ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকি তীব্র হয়েছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। 


ভর্তুকির বোঝা বাড়াচ্ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব এড়াতে ব্যয়বহুল এলএনজিকে নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে। পণ্যের দাম ও আমদানি বৃদ্ধির কারণে সরকারের চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে রপ্তানি বাজার ও পণ্যবৈচিত্র্য বাড়ানোর পাশাপাশি এশিয়ার প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা প্রয়োজন।

উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় কমানোর ওপর জোর দিয়ে আইসিসিবির নেতারা বলেন, বিআইডিএসের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় এক মাস বাড়লে খরচ বাড়ে দশমিক ৯৫ শতাংশ। তাই খরচের পাশাপাশি সময় বাঁচাতে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে হবে।