পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন

প্রকাশকালঃ ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:০৯ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বিদ্রোহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা পুনঃতদন্তের জন্য সরকার একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে।
 

আজ, সোমবার (২ ডিসেম্বর), হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চকে এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
 

এ বিষয়ে গত ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট পিলখানায় সেনা অফিসার হত্যার ঘটনা পুনঃতদন্তের জন্য কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদন ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আদালত নির্দেশ দেয়।
 

২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। এই মামলার রায় ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ, যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠা। রায়েও বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয় এবং ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
 

বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে এ রায় ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
 

এছাড়া, বিচারিক আদালতে তিন থেকে দশ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া ২৫৬ আসামির মধ্যে ১২৮ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৮ জনকে ৭ বছরের, ৪ জনকে ৩ বছরের এবং ২ জনকে ১৩ বছর করে সাজা দেওয়া হয়। ২৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়। ২৮ জন আপিল করেননি এবং ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
 

২০১৫ সালে, এই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। ওই সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ অন্যান্য আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
 

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, বিডিআরের সদর দপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়, যা পরবর্তীতে নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। বিচার প্রক্রিয়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন আলিয়া মাদরাসা মাঠের অস্থায়ী এজলাসে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন, যার মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়। বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলা এখনও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।