স্বল্পমেয়াদি বন্যায় পানিবন্দি ১৭ হাজার পরিবার

প্রকাশকালঃ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৫ অপরাহ্ণ ২৩০ বার পঠিত
স্বল্পমেয়াদি বন্যায় পানিবন্দি ১৭ হাজার পরিবার

স্বল্পমেয়াদি বন্যায় যমুনা নদীতীরের পাঁচ জেলায় গতকাল পর্যন্ত অন্তত ১৬ হাজার ৮৩০টি পরিবার পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত হয়েছে প্রায় এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমির ফসল। বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তত ৫৮টি। অনেক জায়গায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট।

দেখা দিয়েছে নদীভাঙনও। যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে তিন-চার দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি রয়েছে।

তবে আজ ও আগামীকাল বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সোমবার রাতের মধ্যেই যমুনাতীরের পাঁচ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।


পাউবোর সর্বশেষ তথ্যানুসারে, গতকাল বিকেলে যমুনা নদী গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, জামালপুরের বাহাদুরাবাদ, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ী এবং সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জামালপুরে পানিবন্দি ৪৩ হাজার মানুষ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ৯ হাজার ৮৩০টি পরিবারের প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ এলাকার প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা। ইসলামপুরে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এক হাজার ৩২৮ হেক্টর আমনক্ষেত তলিয়ে গেছে।


গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতীরবর্তী নিচু এলাকায় পানি উঠে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এসব এলাকার ফসলি জমি, আমন বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চরাঞ্চলের ৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান নদীভাঙনের শিকার হয়েছে এবং ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পানিবন্দি সাত হাজার পরিবার এবং টাঙ্গাইলে যমুনাসহ তিনটি নদীর পানি বাড়ায় বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, যমুনার পানি বাড়ায় উপজেলার ১৭২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।