এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সব সময়ই খেলেছে অনেক হিসাব-নিকাশ মেলানোর চাপ নিয়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নানা সমীকরণ পেরিয়ে সুপার ফোরে উঠেছিল লিটন দাসের দল। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে পরিস্থিতি বদলে গেছে একেবারেই। নতুন করে ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল ও সমর্থকরা।
এই আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে একটি পরিসংখ্যানও। এশিয়া কাপের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় খুব বেশি নয়—গতকালের ম্যাচের আগে জয় ছিল মাত্র তিনটি। কিন্তু সেই তিন জয়ই বয়ে এনেছিল এক বিশেষ অর্জন। কারণ, ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে যখনই বাংলাদেশ লঙ্কানদের হারিয়েছে, তখনই তারা ফাইনালে খেলেছে।
২০১২ সালে লঙ্কানদের হারানোর পর ফাইনালে খেলেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। ২০১৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে আবারও ফাইনালে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ওয়ানডে সংস্করণেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। অর্থাৎ, লঙ্কানদের হারানোর রেকর্ড বাংলাদেশের জন্য যেন শুভ লক্ষণ।
দলীয় ক্রিকেটাররাও এখন আত্মবিশ্বাসী। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর অন্যতম নায়ক সাইফ হাসান বলেন, ‘এখানে আসার আগেই আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা ফাইনালে খেলব। আমরা এক ধাপ এগিয়েছি। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ভারত ম্যাচ।’
আগে যে পথটা কণ্টকাকীর্ণ মনে হচ্ছিল, এখন তা অনেকটাই উন্মুক্ত। বুধবার ভারতের বিপক্ষে, আর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এই দুটি ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেই ফাইনালের সম্ভাবনা জোরালো হবে। তবে দুটোতেই হারলে আশা শেষ হয়ে যাবে।
👉 এক কথায়, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশ শুধু সুপার ফোরে নয়, ফাইনালের স্বপ্নকেও বাস্তবের কাছাকাছি টেনে নিয়েছে।