কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, দুর্ভোগে স্বল্প আয়ের মানুষ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫০ অপরাহ্ণ   |   ১৮০ বার পঠিত
কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, দুর্ভোগে স্বল্প আয়ের মানুষ

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। প্রচণ্ড ঠান্ডা থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গত কয়েকদিন ধরে জেলার পুরো জনপদ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে সকাল ও রাতে। তীব্র ঠান্ডার কারণে শীতবস্ত্রের অভাবে দারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 

চরাঞ্চলের পরিস্থিতি........

নদ-নদীর হিমেল বাতাসে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা আরও শোচনীয়। দিনমজুররা সকালে কাজে বের হতে পারছেন না। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদেরও ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
 

স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে......

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
 

সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা:

পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার জালাল বাদশাহ বলেন......
“এতো ঠান্ডা পড়ছে যে সকালে কাজে নামা যায় না, হাত-পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষ অনেক কষ্টে আছি।”

 

ওই এলাকার মনছোর আলী জানান......
“সকালে এতো ঠান্ডা থাকে যে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। রাতে ঠান্ডার কারণে ঘুমানোও যায় না। যদি কম্বল পেতাম, অনেক উপকার হতো।”

 

চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল এলাকার এক বাসিন্দা বলেন........
“শীত মৌসুমে চরাঞ্চলের মানুষের বিপদ বেড়ে যায়। ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো কাজ করা বা রাতে ঘুমানো যায় না। এখনও কেউ এসে কম্বল দিয়ে সাহায্য করেনি।”

 

কৃষক জালাল মিয়া (৫২) জানান.....
“শীতের কারণে চরের জমিতে চাষাবাদ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।”

 

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি.......

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের এক শিক্ষার্থী বলেন......
“সকালে স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডার জন্য পড়াশোনার ক্ষতি না করতে কষ্ট করে হলেও যেতে হচ্ছে।”

 

শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ........

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান......
“শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।”

 

আবহাওয়া অফিসের তথ্য......

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন,

“সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”

 

শীতের এমন পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষ বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।