ঢাকা প্রেস
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মতলব উত্তর পৌরসভার মসজিদের একজন ইমাম সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করার পর চাকরি হারান। ইমামকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করলে, পোস্ট ও মন্তব্যকারীসহ মোট ৪ পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়। মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর সম্মানহানির দাবি করে তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমাজচ্যুত ব্যক্তিরা অসহায়ত্বে জীবনযাপন করছেন।
চার পরিবারকে সমাজচ্যূতে বিষয়টি সমাধানে বৈঠক।
বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য:
ইমাম রহমত উল্লাহ: ঈদের পরের শুক্রবার সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করার পর তাকে চাকরি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য রুহুল আমিন মিয়াজী: সমাজের মুসল্লিদের অপমান করায় ৪ পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
পৌর কাউন্সিলর মো. সবুজ বেপারী: মুসল্লিদের অপমান করায় তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, ক্ষমা চাইলে তা প্রত্যাহার করা হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর চাঁদপুর সভাপতি মোশারফ হোসেন: সমাজচ্যুত করার ক্ষমতা কারও নেই, এটি মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
আইনি দিক:
সমাজচ্যুত করা বা নিষেধাজ্ঞা জারি করার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন অনেকে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই ইমাম ও সমাজচ্যুত পরিবারগুলোর প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন সচেতন মহল।
উল্লেখ্য:
এই ঘটনাটি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইমামের চাকরি হারানো এবং ৪ পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সকলের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ প্রয়োজন।