মক্কার উজ্জ্বল দৃশ্য ধারণ করলেন যে মুসলিম নারী নভোচারী

প্রকাশকালঃ ২৯ মে ২০২৩ ০১:৩২ অপরাহ্ণ ১২০ বার পঠিত
মক্কার উজ্জ্বল দৃশ্য ধারণ করলেন যে মুসলিম নারী নভোচারী

হাকাশ থেকে পবিত্র কাবা ঘরের দৃশ্য ধারণ করেছেন সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী রায়ানা বারনাভি। শুক্রবার (২৬ মে) টুইটারে তিনি ভিডিওটি শেয়ার দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওটি শেয়ারের পর ইতিমধ্যে এক দশমিক ৭ মিলিয়ন ভিউ হয়। 

সৌদি আরবের ওপর দিয়ে মহাকাশ স্টেশন অতিক্রমকালে অন্ধকারের মধ্যে জ্বলজ্বল করতে থাকা আলোরশ্মিকে পবিত্র কাবা শরিফ উল্লেখ করে বারনাভি টুইট বার্তায় লিখেন, ‘আজকের দায়িত্ব শেষ করে আমরা মক্কা মুকাররমার ওপর দিয়ে অতিক্রম করি। তা ছিল আলোয় ঝলমল।’ 

ভিডিও ধারণের সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘সৌদি আরবকে উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। এবার আমি আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করব। দেখুন, পবিত্র মক্কা।


দেখুন পবিত্র মসজিদুল হারাম। দেখুন, মক্কা কী উজ্জ্বল হয়ে আছে! আর এদিকে দেখুন, মদিনা। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য।’

গত ২১ মে সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন রায়ানা বারনাভি।


তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌদি আরবের আরেক নভোচারী আলি আল-কারনি। মার্কিন কমান্ডার পেগি হুইটসন ও পাইলট জন শফনারও তাদের সঙ্গে ছিলেন। বারনাভি ১০ দিনের এই মহাকাশ ভ্রমণে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করছেন। 

৩৪ বছর বয়সী রায়ানা বারনাভি বায়োমেডিকেল সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে রিয়াদের কিং ফয়সাল স্পেশালিষ্ট হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টারে 'রিসার্চ ল্যাব টেকনিশিয়ান' হিসেবে স্টেম কোষ ও টিস্যু রি-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে কাজ করেছেন।


এর আগে গত ১৭ এপ্রিল মহাকাশ থেকে পবিত্র মক্কা ও মদিনার বর্ণিল দৃশ্য ধারণ করেন আরব আমিরাতের মুসলিম নভোচারী সুলতান আল-নিয়াদি (৪১)। তিনি সেখানে রমজান ও ঈদু ফিতর উদযাপন করেন। গত চার দশকে মহাকাশে অনেক মুসলিম নভোচারী গিয়েছেন। তারা সেখানে নামাজ, রোজা ও কোরআন তিলাওয়াতও করেছেন। 

১৯৮৫ সালে প্রথম আরব ও মুসলিম নভোচারী হিসেবে সৌদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে গিয়েছিলেন। মহাকাশে যাত্রার দিন তিনি রোজা রেখেছিলেন। সেদিন ছিল রমজান মাসের শেষ দিন। তাঁর লেখা ‘সেভেন ডেইজ ইন স্পেস’ বইয়ে মহাকাশে থাকাকালে ইসলামী দায়িত্ব পালনের কথা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। 

২০০৬ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত আনুশেহ আনসারি প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মহাকাশে গমন করেন। ২০০৭ সালে রমজানের কয়েক দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন মালয়েশিয়ার নভোচারী শেখ মুসজাফর শাকর। সেখানে মহাকাশচারীদের সঙ্গে ঈদ উৎসবও পালন করেছেন বলে জানা যায়। ২০১৯ সালে আমিরাতের প্রথম নভোচারী হাজ্জা আল মানসুরি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আট দিন কাটান। সেখানে তাঁর নামাজ পড়ার ছবিও ধারণ করা হয়।