আগামী বছরের রমজানের আগেই—অর্থাৎ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে—জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক ও অ্যানড্রু হেরাপের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬ সালের মধ্যে হতে পারে। কিন্তু জামায়াতের মত হচ্ছে, রমজানের আগেই ভোট হওয়া উচিত। কারণ জুনে ঝড়-বর্ষা ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকে, যা নির্বাচনকে অনিশ্চয়তায় ফেলতে পারে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “রমজান আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারির দিকে শুরু হতে পারে। তার আগেই নির্বাচন হওয়াটা সময়োপযোগী হবে।”
আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গও উঠে আসে। জামায়াত আমির বলেন, “জাতি এখনও ট্রমার মধ্যে আছে। বহু আহত এখনও হাসপাতালে, শহীদ পরিবারগুলো শোকে আছে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত, তবে সেটি সুষ্ঠুভাবে হওয়া জরুরি।”
বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিও তুলে ধরা হয়। এছাড়া, রাজনীতি, নির্বাচন, অর্থনীতি, কূটনীতি, সংখ্যালঘু ও নারী অধিকারসহ নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। যদিও তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, জামায়াতের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন একটি নাজুক সময় পার করছে। আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র তা উপলব্ধি করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।”
জামায়াত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে বিশ্বাসী এবং তা দলীয় ও জাতীয় পর্যায়ে চর্চার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও উপস্থিত ছিলেন।