ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবন থেকে শাহবাগের উদ্দেশে নেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মরদেহ বহনকারী গাড়িটি শাহবাগের দিকে রওনা দেয়।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় পুরো এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
জানাজা শেষে ওসমান হাদিকে দাফনের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশের স্থানে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কবর খননের কাজ শুরু হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়।
মরদেহ বহনের সময় হাদির পরিবারের সদস্য, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো পথজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। তিনি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।
