বাংলাদেশ ও ভুটানের শীর্ষ নেতাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে আজ স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ বিষয়ে দুইটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
প্রথম সমঝোতা স্মারকটি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ বিষয়ের ওপর। এটি সই করে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটানের রয়্যাল সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগসেবা বাণিজ্য সম্পর্কিত। বাংলাদেশ সরকার ও ভুটানের রয়্যাল সরকারের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান।
সমঝোতা স্মারক সই ও নথি বিনিময় অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
এর আগে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুই দেশের মধ্যে একান্ত বৈঠক এবং আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে আজ সকালে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ড্রুকএয়ারের ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বৈঠক শেষে তাঁকে সাময়িক সালাম মঞ্চে নেওয়া হয়, যেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন।
দুপুরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে সরকারের পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
সূত্র: বাসস