সকালটা মোটেও বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না। মাত্র ৯ রানের মধ্যে শেষ পাঁচ উইকেট হারানোর পর বল হাতে ঝলসে ওঠেন ইবাদত-শরীফুলরা। আফগানদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৬ রানে। ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে ফলোঅন করানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও সে পথে হাঁটেনি বাংলাদেশ।
বরং তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সম্ভাব্য কারণ- ক্ষতবিক্ষত উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে চায়নি বাংলাদেশ।
আজ দ্বিতীয় দিন সকালে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দুইবার জীবন পাওয়া ইব্রাহিম জারদান ৬ রানে শরীফুলের শিকার হন।
স্কোরবোর্ডে আর ৬ রান যোগ হতেই ইবাদত হোসেনের বলে জাকির হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন অপর ওপেনার আব্দুল মালিক। মধ্যাহ্নবিরিতের আগের ওভারে ইবাদতের দ্বিতীয় শিকার রহমত শাহ (৯)। বিরতির পর ফিরেই আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদিকে (৯) মিরাজের তালুবন্দি করে দ্বিতীয় শিকার ধরেন শরীফুল। এরপর নাসির জামাল আর আফসার জাজাই মিলে প্রতিরোধ গড়েন।
কিন্তু ইবাদতের বলে আউট হওয়াই যেন হামজার (৬) ভাগ্যে লেখা ছিল। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুমিনুল। আহমেদজাইকে (০) লিটনের গ্লাভসবন্দি করে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন তাইজুল। আফগানদের শেষ দুই উইকেট তুলে নেন তাইজুল আর মিরাজ। ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে অল-আউট হয় আফগানিস্তান। ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন ইবাদত। এছাড়া শরীফুল, মিরাজ, তাইজুল নেন ২টি করে।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দিনের ৪৫ মিনিটেই বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অল-আউট হয়। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১৪৬)। এছাড়া সেঞ্চুরি মিস করেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান (৭৬)। শান্ত আর মাহমুদুলের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ছিল ২১২ রানের। তবে আজ দ্বিতীয় দিনে আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারেন শেষ পাঁচ ব্যাটার। মেহেদি মিরাজ (৪৮) আর মুশফিকুর রহিম (৪৭) উভয়েই ফিফটি মিস করেন। লোয়ার অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে পাঁচ উইকেট নেন আফগানিস্তানের অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদ।